জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়ায় ৮ম শ্রেণির প্রতিবন্ধী এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৯টার দিকে ছোটভাইকে বাড়ির পাশে চাচার বাড়ি থেকে আনতে যায়।
এ সময় উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে বখাটে রিফাত মোল্যা (১৮) এবং কোবাদ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬) তাকে জাপটে ধরে। এ সময় তারা মেয়েটির মুখ বেঁধে নদীর পাড়ে পরিত্যাক্ত হ্যাভেন সিটির (পার্ক) ভেতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি বাড়িতে না ফেরায় তার মা লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দেখতে পান হ্যাভেন সিটি পার্কের ভেতরে দুই যুবক মেয়েকে ধর্ষণ করছে। এ সময় তারা একজন ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং অপরজন পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া অপরজনকে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে।
এলাকাবাসী রাতে মেয়েটিকে গুরুতর অসুস্থ ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা ওই ধর্ষকদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় এলাকাবাসী একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে এবং অপরজনকে পুলিশ আটক করেছে। নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।